সুকুমার সরকার, ঢাকা: ৬ ডিসেম্বর দিনটি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এ বছর মৈত্রী দিবসটি বিশেষভাবে পালিত হতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই দিন দিল্লিতে ভাষণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladesh PM Sheikh Hasina) বোন শেখ রেহানাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের তরফে। এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন শেখ রেহানা, সূত্রের খবর এমনই। শুধু ওইদিন বক্তৃতাই নয়, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যাকে নিয়ে আরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লির।
অন্যদিকে, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ বিজয় দিবসের এবার পঞ্চাশ বছর। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে উপস্থিত থাকার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঢাকা। এবার সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপতি প্রথমবার যাচ্ছেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে। এবছর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে আমন্ত্রিত আরও বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা। ভুটানের প্রাক্তন রাজা নামগিয়াল ওয়াংচুককেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ঢাকায়।
১৯৭১ সালের তৎকালীন পাক সেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা অর্জনের নেপথ্যে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। এবছর বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে তাই ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’র আয়োজন করা হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে। সেখানেই বক্তৃতা দেওয়ার জন্য শেখ রেহানাকে (Sheikh Rehana) আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। রেহানার দিল্লিতে (Delhi)আগমন এবং ভারতের তরফে এতটা গুরুত্বপ্রদান দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই সফল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দারুণ। সেটা ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকেই। হাসিনার বোন শেখ রেহানা সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। সেদিক থেকে এবার তাঁকেই দিল্লির আমন্ত্রণ জানানো এবং তাঁর ভারত সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি হাসিনার মতো রেহানাও এবার আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন? আর এক্ষেত্রেও ভারতই অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে? এসব প্রশ্ন উঠছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.