সুকুমার সরকার, ঢাকা: ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বন্ধু বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে ভারত’। এমনটাই জানালেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ঢাকাকে আশ্বস্ত করে শ্রিংলা সাফ জানিয়ে দিলেন যে এই সংবেদনশীল ইস্যুতে পাশেই থাকছে নয়াদিল্লি।
[রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে আধার-প্যান, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য ]
শুধু তাই নয়, শ্রিংলা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও মায়ানমার দুই দেশই ভারতের বন্ধু। দু’দেশের নিরাপত্তা ভারতের জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাদ্য ও বাসস্থান দিয়ে খুবই মহৎ একটি কাজ করেছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য সহযোগিতা করছে ভারত। এমনকি রাখাইণ প্রদেশে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য ভারত সরকার ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট পরিদর্শনে যান শ্রিংলা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দিল্লির সতর্ক পদক্ষেপে কিছুটা অসন্তোষ ছড়ায় ঢাকায়। এদিন জল্পনা উড়িয়ে তিনি সাফ করে দিলেন যে হাসিনা সরকারের পাশেই রয়েছে দিল্লি। এদিন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। স্পর্শকাতর তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মদির সঙ্গে আলোচনা চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই তিস্তা চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা-নাইপিদাও। শরণার্থীদের পুনর্বাসনের পক্ষে সওয়াল করেছে রাষ্ট্রসংঘও। তবে এত কিছুর পরও রাখাইনে ফিরতে চাইছেন না উদ্বাস্তুরা। তাঁদের অভিযোগ, ফিরে গেলে ফের তাঁদের উপর হামলা চালাবে বার্মিজ সেনা ও মগ দস্যুরা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। গত বছর আগস্ট মাস থেকেই রাখাইন প্রদেশে শুরু হয় প্রবল সংঘাত। বার্মিজ সেনার বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। তারপরই জঙ্গিদমনে নামে সেনা। অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করার নামে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা করে সরকারি বাহিনী। ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
[এবার হিন্দু রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রসংঘ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.