সুকুমার সরকার, ঢাকা: ট্রেন বা জাহাজে নয়, এবার ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি যাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে। শীঘ্রই দুই বন্ধু দেশের মধ্যে চালু হবে ‘ইন্দো-বাংলা মৈত্রী পাইপলাইন’। এই নয়া প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমছে ১ টাকা করে]
নয়া পাইপলাইনটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। অবশেষে চলতি মাসেই যৌথভাবে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ও দিল্লি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই পাইপলাইনের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে। পাইপলাইন নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই পদক্ষেপে জ্বালানি পরিবহনের জন্য যে বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ হয় তা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বনধ চলাকালীন নিরাপদে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেন জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে পাইপলাইন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত নির্মিত হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রতি বছরই জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা মেটাতে প্রায় ৬৭ লক্ষ মেট্রিক টন তেল আমদানি করছে বাংলাদেশ। এই পাইপলাইনটি সম্পূর্ণ হলে জ্বালানি তেলের একটি বড় অংশ ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে আসবে। অসমের নুমলীগড় রিফাইনারি (এনআরএল) থেকে এ তেল সরবরাহ করা হবে। এই মর্মে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিপিসি ও এনআরএলের মধ্যে পাইপলাইন নির্মাণ এবং তেল ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি হয়।
[ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.