ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: গাছের আড়ালে লুকিয়ে জঙ্গিরা। অন্যদিকে হাতে আধুনিক অস্ত্র নিয়ে তৈরি সেনা। গাছের আড়াল থেকে নড়াচড়া, পালিয়ে যাওয়ার শব্দ। এ পাশ থেকে চলল সেনাদের গুলি। ওপাশ থেকে পাল্টা গুলি চালাচ্ছে জঙ্গিরাও। শত্রুদের কীভাবে সেনারা ঘিরে ফেলে নিকেশ করছে, আবার কীভাবে শত্রুরা পালটা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, একটু দূরে দাঁড়িয়ে তার উপর কড়া নজর রাখছেন সেনা অফিসাররা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতের আর বাকিরা বাংলাদেশের।
[ফাঁসিতে ঝুলল সৌদি দূতাবাস আধিকারিকের খুনি সাইফুল ইসলাম মামুন]
জঙ্গিদের সঙ্গে আসল ‘যুদ্ধ’ নয়। যুদ্ধের মহড়া। পাকিস্তানের সীমান্তে দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত গুলি, মিসাইলের জবাব দিয়ে চলেছে ভারতীয় সেনারা, পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে গিয়ে হয়েছে বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। আর এবার জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে অন্য এক প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধের মহড়া শুরু করল ভারতীয় সেনা। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়া। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিদের নিকেশ করতে চায় সেনারা। সেইমতো শুরু হয়েছে অভিযানও। জইশ ছাড়াও লস্কর ও অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও দেশে হামলা বা নাশকতা চালাতে পারে। তার জন্য সেনারা তৈরি রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পূর্বাঞ্চলে উৎপাত শুরু করেছে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিরা। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর এই জঙ্গিরা যে এই দেশে যথেষ্ট সক্রিয়, তা জানতে পেরেছেন ভারত ও বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। দু’দেশেই জঙ্গিদের মাথারা ধরা পড়েছে। কিন্তু জেএমবি ও নিও জেএমবি, বাংলাদেশের আল কায়দার জঙ্গিরা যে ফের ঘাঁটি তৈরি করে নাশকতা চালাবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।অনেক সময়ই এই জঙ্গিদের রাইফেলের চেয়ে হ্যান্ড গ্রেনেড বা অ্যাসিড বোমাই বেশি পছন্দ। বাংলাদেশের এই জঙ্গিদের স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখে দু’দেশেই তাদের রুখতে এবার যৌথভাবেই মহড়া শুরু করল ভারত ও বাংলাদেশের সেনারা।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজপুতানা রাইফেলসের ৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের ১৭০ জন সেনাকর্মী ও আধিকারিককে পাঠানো হয় বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে। বাংলাদেশের ৩৬ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতীয় সেনারা মহড়া শুরু করেছে। দুই পক্ষের হাতেই রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। এক পক্ষ অন্য পক্ষের কলাকৌশল, স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানতে শুরু করেছে। সেইমতো যৌথভাবে প্রশিক্ষণও চলছে। প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গেই হবে যৌথ মহড়া। তৈরি হবে বেশ কয়েকটি টিম। প্রত্যেকটি টিমে থাকবেন দু’দেশের সেনারা। কোনও টিমকে বলা হবে হামলা চালাতে, আবার কোনও টিমকে বলা হবে হামলা রুখতে। কোন টিম কী ধরনের স্ট্র্যাটেজিতে ‘যুদ্ধ’ করে, সেদিকে নজর রাখা হবে।
[ ‘জেহাদি বধূ’ শামিমাকে নিয়ে দেশে ফিরতে চায় ডাচ স্বামী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.