সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা আতঙ্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত মাসে রেকর্ড পরিমাণে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। দুই দেশের রেলওয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই ট্রেনগুলো চালানো হয়। পণ্য পরিবহনের এই বিরাট পরিমাণ সাফল্য দেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতের মধ্যে পার্সেল ট্রেন পরিষেবা শুরুর অনুমতি দেয়।
করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ি থেকে বের হওয়াই দায়। আর সেখানে জুন মাসে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে বলে জানা যায়। গত এক মাসে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেনে করে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, ভুট্টা, হলুদ, ধানের বীজ, চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে। করোনা মহামারী ও লকডাউনের আবহ এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনও ছেদ ফেলতে পারেনি। উলটে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। গত এক মাসে এই বিপুল পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করতে দেখে ভারতের উপরে আরও ভরসা বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। তাই বাংলাদেশ প্রশাসন ভারতে পার্সেল (Parcel) ট্রেন পরিষেবা চালু করারও অনুমতি দিয়েছে। তবে প্রশ্ন হল কী এই পার্সেল ট্রেন পরিষেবা? এটিও একপ্রকার পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শহরে দ্রুতগতিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হয়। ফলে করোনা আবহে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবায় যাতে কোনও ছেদ পড়বে না। তাই দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা শুরু করা হয়। পার্সেল ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে আপাতত ২৩৮ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা হবে ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
সম্প্রতি ঢাকায় (Dhaka) নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ একাধিক ভিডিও কনফারেন্সে রেল মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুই দেশের মধ্যে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের সহজীকরণের ব্যাপারে অনুরোধ করেন। দীর্ঘ আলোচনার পরে বর্তমানে এনবিআর ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে কন্টেনার ট্রেন পরিষেবা সহজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। ভবিষ্যতে দুই দেশের অন্দরে এই পরিষেবাকে আরও উন্নত করা হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশের রেলমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.