সুকুমার সরকার, ঢাকা: চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক গেটওয়ে। অর্থনীতির লাইফ লাইন চট্টগ্রাম। সেই কারণে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় উত্তরপূর্ব ভারত। নেপাল, ভুটানও এই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। চট্টগ্রামকে তাই বিশ্বমানের শহর হিসবে গড়ে তুলতে তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নগরের পোলো গ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের ২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনে এই বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে আরও অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন করে আশা জাগছে।
মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান আমলে দেখার মতো ব্যবসার ধারেকাছে ছিল না বাঙালিরা। বাংলাদেশ হয়েছে বলে আমরা ব্যবসায়ী হয়েছি। বিন্দু থেকে বাংলাদেশ নামের বৃত্ত সৃষ্টি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশটা জন্ম দিয়ে তা তৈরি করতে দিল না বঙ্গবন্ধুকে। সোনার বাংলাদেশ করতে দেবে না বলেই তাকে হত্যা করা হল।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আজকের বিজনেস পলিটিক্স হচ্ছে গ্লোবাল পলিটিক্স। সারা পৃথিবীতে তৈরি পোশাক খাতের ১০টি গ্রিন কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে। পৃথিবীর ১ নম্বর সোয়েটার ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে। এটি আমাদের জন্য গর্বের।”
বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এই চট্টগ্রাম। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে কর্ণফুলি নদীর মোহনায় অবস্থিত বন্দরটি সেই ইংরেজ আমলের। পরে ১৯১০ সালে এর সঙ্গে রেল যোগাযোগ গড়ে ওঠে। ফলে বৈদেশিক এবং আন্তঃদেশীয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের কাজে এই বন্দরের গুরুত্ব আরও বাড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ‘মেজর পোর্ট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব তেমন বেশি নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভাল। ফলে ভারত এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। এদিকে, নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। তাই ওই দুই প্রতিবেশী দেশও বন্দরটি ব্যবহার করতে চায়। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব বাড়তে চলেছে। তা সামনে রেখে বন্দর শহর চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী হাসিনা প্রশাসন। হয়ত শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.