সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। এবার ঘটনাস্থল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা। রবিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামে হিন্দুদের বেশকয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় আহত হয়ছেন অন্তত ১৫ জন।
এই বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কামারিয়া গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের আক্রমণে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কামারিয়া গ্রামের সব পরিবারই হিন্দু সম্প্রদায়ের। দিন সাতেক আগে পাশের বগুড়া গ্রাম থেকে জনা বিশেক লোক এসে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় কামারিয়া গ্রামের মানুষ থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ‘বহিরাগত’দের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। তারপরই হামলার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা জোরালো হয়ে উঠছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই গ্রামের সুনীল মণ্ডল, দীপক মণ্ডল, ভরত মণ্ডল, জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডল, উত্তম বাইন, সজল বারই, দেব কুমার ও বিকাশ কুমারের বাড়িতেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি ও শৈলকুপা আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই বলেন, “হিন্দুদের বাড়িতে হামলা মেনে নেওয়া যায় না।” ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুর ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন আগে কামারিয়া গ্রামে একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে বিরোধ হয় বলে শুনেছি। তবে এবার কী কারণে বাইরের গ্রাম থেকে আসা লোকজন হামলা চালিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন নতুন নয়। জঙ্গি ও মৌলবাদীরা ছলছুতোয় হিন্দুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবার ঘটনাস্থল ফের নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। এর আগে একই অভিযোগ তুলে নড়াইলে একটি কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়। যার জেরে বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র ধিক্কার ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এই কাণ্ডের জন্য ছাত্র-সহ একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই বিচারপ্রক্রিয়া কাজ চলছে। এর রেশ শেষ না হতেই ফের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.