প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দিন হিন্দু নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ‘নতুন’ বাংলাদেশে। ওপার বাংলা থেকে যেসব খবর আসছে তা শিউরে ওঠার মতো। বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় এক হিন্দু গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদী সংগঠন জামাত ইসলামির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা নড়াইল জেলা সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনি ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মালপত্র বিতরণ করেন। কাজ শেষ করার পর বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় স্থানীয় যুবক মহম্মদ রাজিবুলের ফোন পেয়ে পাওনা টাকা নিতে যান নির্যাতিতা। কিন্তু দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্লার এলাকায় যেতেই রাজিবুল, ফারুক, ওসমান, শফিকুল-সহ আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি সেই ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখার পাশাপাশি দুলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা। তখন নির্যাতিতা সকলে সব জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে অভিযুক্তরা তাঁর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয়। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা সকলেই জামাত ইসলামির ক্যাডার।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়িতে ফিরে এই ঘটনা নিয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু এরপর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকালে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, এনিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনও কোনও উৎসাহ দেয়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চরম আকার নিয়েছে। বাড়ি-দোকানপাটে হামলার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারারও অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু। ভাঙচুর হয়েছে ইসকনের মন্দিরেও। যা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। কিন্তু তাতেও হিন্দু নির্যাতন রুখতে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। উলটে ইউনুসের উপদেষ্টারা একের পর এক ভারতবিরোধী মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এর মাঝেই এই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.