Advertisement
Advertisement
শেখ হাসিনা

চিন ও ভারত দুজনেই বাংলাদেশের বন্ধু, মন্তব্য শেখ হাসিনার

১১ দিনের জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফরের পর বাংলাদেশে ফেরেন হাসিনা।

Hasina to briefed media on her tri-nation tour Sunday

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 9, 2019 7:53 pm
  • Updated:August 10, 2019 2:06 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: “চিন ও ভারত উভয়েই আমাদের বন্ধু। আমাদের নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা। কারওর সঙ্গে বৈরিতা নয়।” রবিবার ঢাকার বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ দিনের জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফরের পর রবিবার নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।

[আর পড়ুন- সীমান্ত সুরক্ষায় জোর, আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের বৈঠক]

আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, “জাপান সফর শেষে সৌদি আরবের উদ্দেশে প্লেনে করে যাওয়ার সময় পাইলট বললেন, আমরা চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যাচ্ছি। তখন মনে হল, নিজের দেশে নেমেই যাই। না হয় পরেরদিন যাই সৌদি আরব।” ২০১৭ সালে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের জন্য তৈরি হওয়া সমস্যার কথা ইসলামিক দেশগুলি(ওআইসি)-র সম্মেলনে তিনি তুলে ধরেছেন বলেও জানান সাংবাদিকদের। বলেন, “কিছু এনজিও চায় না রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাক। তাহলে তাদের কোনও কাজ থাকবে না। এই কারণে রোহিঙ্গাদের উসকে দিচ্ছে যাতে তারা স্বদেশে ফিরে না যায়। অন্যদিকে মায়ানমারও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গড়িমসি করছে। ওআইসি-র সম্মেলনে এশিয়ার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার সময় আমি সন্ত্রাসবাদ ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সবার সামনে এই অঞ্চলের সমস্যার কথা তুলে ধরি।”

Advertisement

জাপান সফরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, “জাপান সফরে কিছু চুক্তি সই করেছি। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করছে। এর জন্য ২৫০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। সরকারি কাজকর্মের পাশাপাশি ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় নিহত হওয়া জাপানি নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছি।” রবিবার কক্সবাজার বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের করার বিষয়ে তাঁর সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। বলেন, “এটাকে আন্তর্জাতিক রুটের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। এখানে জ্বালানি নেবে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলো। শুধু জ্বালানিই নেবে না, যদি আমরা সেভাবে সি-বিচটাকে দেখাতে পারি তা হলে ওই ফ্লাইটগুলির যাত্রীরা সমুদ্র সৈকতেও ঘুরবে। এর জন্য কিছু কিছু এলাকা বিদেশি পর্যটকদের উপযোগী করে তুলব। এটা করতে পারলে আমরা পর্যটনে আরও এগিয়ে যাব।”

[আর পড়ুন- ‘অনেক খরচ’, অজুহাত দেখিয়ে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা পুলিশেরই!]

সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “হুমকি সবসময় আসে, অনেক হুমকি। সব বলে মানুষকে ভীত করতে চাই না। আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে সব তথ্য আছে। তাঁরা সে অনুযায়ী কাজ করছে। ইদে দেশের বাইরে ছিলাম। তবু সব তথ্যই আমার কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু, আমরা প্রস্তুত। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও পুলিশ সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। যে জন্য সুষ্ঠুভাবে ইদের জামাত শেষ হয়েছে। তাছাড়া আমাদের বড় শক্তি, আমাদের জনগণ খুবই সচেতন। তাঁদের কাছে আবেদন, তাঁরা যেন সজাগ থাকেন, সতর্ক থাকেন। তাঁরা সজাগ থাকলে কোনও হুমকিতেই কিছু হবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement