সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫-এর পরবর্তী সরকারগুলিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং তার পত্নী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনও ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু তারা সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে উদাসীন ছিলেন। বিএনপি-জামাত শাসন আমলে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের মূল হোতা ছিল। ওই অস্ত্র বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে চোরাচালান হয়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে যাচ্ছিল।
হাসিনা বিএনপির সমালোচনার জবাবে আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কোন চুক্তি হলে তা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই হবে, দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছুই করা হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২৫ বছরের সমঝোতা চুক্তিকে ‘গোলামি’র চুক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু এই চুক্তি থেকে সীমান্ত সমস্যা সমাধান-সহ বাংলাদেশেরই অর্জন বেশি। শেখ হাসিনা বুধবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
অন্যদিকে, বিএনপি আবার তাদের পুরনো খেলা- ভারতবিরোধী রাজনীতি শুরু করেছে। তা মনে হয় এবার খুব একটা কাজে লাগবে না বলে মনে করছেন শাসক দল আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বুধবার কুষ্টিয়া জেলায় এক সমাবেশে এ কথা বলেন। ২০০২ সালে চিনের সঙ্গে বিএনপি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিল তা তারা জাতির কাছে জানিয়েছিল কিনা প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, এ ধরনের কাল্পনিক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিএনপির ভারতবিরোধী রাজনীতি খুব একটা সুফল হবে না।
একইসঙ্গে খালেদা পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন বলে অভিযোগ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পাকিস্তানের সুরে তারা সব সময় ধংসাত্মক রাজনীতি করেছে বলে দাবি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.