সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাস (Corona Virus) -এর কারণে বাংলাদেশে আংশিক লকডাউন চলছে। এর জেরে কাজ হারানো শ্রমিকদের নামের তালিকা, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নমবর-সহ দ্রুত তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তালিকা তৈরি হলে এককালীন নগদ অর্থ সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। এর জন্য ৭৬০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধেয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের জেরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তাও তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ঘরে বসেই এবার নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করব। কবিগুরুর কালজয়ী গান, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ গেয়ে আহ্বান করব নতুন বছরকে। অতীতের সকল জঞ্জাল ও গ্লানি ধুয়েমুছে আমরা সামনে দৃপ্তপায়ে এগিয়ে যাব। গড়ব আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “করোনা ভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে। সেই আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় তাই বলতে চাই, মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। হারা শশীর হারা হাসি অন্ধকারেই ফিরে আসে।”
সমগ্র বাংলাদেশ এবং প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রতিবছর ঢাকার রমনা পার্ক, চারুকলা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-সহ নগরীর নানা স্থান মানুষের ভিড়ে মুখরিত থাকে। গ্রামীণ মেলা ও হালখাতা-সহ নানা অনুষ্ঠানে গোটা দেশ মেতে ওঠে। কিন্তু এবার সবাইকে অনুরোধ করব কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা ও তরমুজ-সহ নানা ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.