Advertisement
Advertisement

হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খালেদা-পুত্র তারেকের

১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ।

Hasina assassination attempt: 19 awarded death, Khaleda’s son gets life
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 10, 2018 1:33 pm
  • Updated:October 10, 2018 1:33 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০০৪-এর ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে আজ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল ঢাকার একটি আদালত৷ আজ, বুধবার রায় ঘোষণা হল৷ শাস্তির চরম খাঁড়া নেমে আসল বিএনপি-জামাত জোট সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু-সহ ১৯ জনের উপর৷ এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল হল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তথা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান-সহ হারিছ চৌধুরিকে৷

[পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই হাসিনার উপর হামলার ষড়যন্ত্র করে হিজবুল!]

Advertisement

গতকালই হামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় আদালতে৷ আগেই প্রমাণিত হয়েছে যে, হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে। ষড়যন্ত্র হয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বুধবার দুপুরে ঢাকার ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন৷ এই মামলায় মোট ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের মধ্যে ৪১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন সরকারপক্ষের আইনজীবীরা। আওয়ামি লিগের দলনেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪-এর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেদিন বিকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামি লিগ কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় আওয়ামি লিগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান-সহ ২৪ জন৷ গুরুতর জখম হন শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামি লিগের কয়েকশো নেতা ও কর্মী।

[এবার মাদক পাচারে মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইন আনতে চলেছে বাংলাদেশ]

আদালতে দায়ের হয় দুটি পৃথক মামলা৷ একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মামলা। মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন, যাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১ জন। সরকারিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২৫ জন। অন্যদিকে, বিরোধীপক্ষে সাক্ষ্য দেন মাত্র ২০ জন। গ্রেনেড হামলার তদন্ত নিয়ে একাধিকবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে। জর্জ মিঁয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে গ্রেনেড হামলার জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়টিও সমালোচনার জন্ম দেয়। ২০০৭-এ ওই হামলার পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। সেখানে উঠে আসে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জেহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নাম৷ তদন্তে উঠে আসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তথা বিএনপি’র অন্যতম শীর্ষনেতা তারেক রহমানের নাম৷ অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ বেশ কয়েকজনে পদস্থ শীর্ষ পুলিশকর্তা এবং তিনজন আইজিপি’র নাম৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement