ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাজধানী ঢাকার রাস্তায় যেন পাতা রয়েছে মৃত্যুফাঁদ! এবার খোলা ম্যানহোলে পড়ে আহত হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত জা জেনোস্কি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে রাজধানীর সড়কগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।
বুধবার হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায় নিজের জখম পায়ের ছবি দিয়ে জার্মানির (Germany) উপরাষ্ট্রদূত টুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন, ঢাকাকে তিনি পছন্দ করেন। তবে তিনি জানতেন- পথ চলতে যত সতর্কই থাকুন; রাতে নগরীর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের একটিতে পড়বেনই! টুইটে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য সবার শুভকামনা চেয়েছেন তিনি, যাতে বাংলাদেশ ঘুরে দেখার জন্য দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
এদিকে, জার্মান উপরাষ্ট্রদূতের টুইট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নজরে আসে ঘণ্টা তিনেক পর। মেয়র এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানতে চেয়েছেন, খোলা ম্যানহোলটি কোথায়। তা মেরামত করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। মেয়রের জবাবে সন্তোষ প্রকাশ করে উপরাষ্ট্রদূত আরেকটি টুইটে জানান, খোলা ম্যানহোলটি গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কে নরডিক ক্লাবের কাছাকাছি, যেখানে অনেক বিদেশি সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হন।
এই ঘটনায় বার্নড স্পেইনার নামের জার্মান বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ ব্রাসেলস থেকে উপরাষ্ট্রদূতের টুইটে জানান, তিনিও একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। উপরাষ্ট্রদূত পালটা বলেন, এ নিয়ে এক বছরে তিন জার্মান গুলশানের রাস্তার এহেন ঘটনার মুখে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, জার্মান কূটনীতিকের টুইট বার্তার পরই রাতারাতি রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার খোলা ম্যানহোলগুলোর ঢাকনা লাগানো হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে বলেন, মঙ্গলবারই ম্যানহোলটি মেরামত করা হয়েছে। এর আগেও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তখন সেসব ম্যানহোলে সমস্যা ছিল, তা মেরামত করা হয়েছে। এরকম যত ম্যানহোলে সমস্যা আছে, সবই ঠিক করা হবে। পরে গুলশান এলাকায় আরও এই রকম সাতটি খোলা ম্যানহোলের খোঁজ মেলে। সেগুলোও মেরামত করে স্লাব লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, রাজধানী ঢাকার ১০ শতাংশ ম্যানহোলের মুখ খোলা। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। ২০১৪ সালে ঢাকনাহীন ম্যানহোলে পড়ে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুরে শিশু জিহাদ মারা যায়। ২০১৫ সালে শ্যামপুরে খোলা নর্দমায় পড়ে মারা যায় আরেকটি শিশু। এছাড়া, বৃষ্টি হলেই ম্যানহোলে পড়ে জখম হওয়ার ঘটনা ঘটে অহরহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.