সুকুমার সরকার, ঢাকা: জল্পনার অবসান। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে মোতায়েন থাকবে ৬ লক্ষাধিক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। উল্লেখ্য, প্রথম থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনার কাজে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করার দাবি করে আসছে বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলি।
[ আদালতের নির্দেশে বিএনপির শীর্ষপদে থাকতে পারছেন না খালেদা ও তারেক]
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। ভোট ঘোষণার আগে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। গত ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সহ চারজন কমিশনার। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে বৈঠক হয়। শুক্রবার থেকে সারা দেশে মনোনয়নপত্র বিলি শুরু হবে। এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন প্রার্থীরা। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
[ নির্বাচনের আগে ৪ মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ হাসিনার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.