সুকুমার সরকার, ঢাকা: চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হল কমপক্ষে সাত জনের। জখম আরও ১০। আজ সকাল ৯টা নাগাদ ব্রিক ফিল্ড রোডের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচের তলা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়রা। তাঁরা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণের তীব্রতায় একটি তলার দেওয়াল ধসে পাশের রাস্তা ও বাড়ির উপর পড়ে। ওই বাড়ির দু’জন এবং পথচারী-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন মহিলা ও শিশু। ১০ জন এখনও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পরপর স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে নামেন। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কাজে হাত লাগিয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে পথচারী এক দম্পতি ও তাঁদের সন্তান। নিহত নুরুল ইসলাম পেশায় রংমিস্ত্রি। তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। পাথরঘাটা এলাকারই একটি ভবনে তাঁর কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিস্ফোরণের জেরে পাশের ভবনের দেওয়াল ধসে গিয়ে পড়ে তাঁর উপর। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান স্ত্রী সুলতানা। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। ছুটির দিন সকালে এমন বিপর্যয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিড় বাড়তে থাকে। সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন নিজের পরিজনের খবরাখবর নিতে।
ঘটনাস্থলে থাকা দমকল বিভাগের কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের পর একটি ভবনের দেয়াল ধসে রাস্তা ও পাশের বাড়ি উপর পড়ার কারণে হতাহত বেশি হয়েছে। কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন পর্ষদ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। বিশেষজ্ঞরা সব দেখেশুনে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছেন যে এই ব্রিক ফিল্ড রোডে বাড়ির নির্মাণ যথাযথ নিয়ম মেনে হয়নি। যে জায়গা ছেড়ে রাখার কথা, সেই জায়গা ছাড়া হয়নি। চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাজিরউদ্দিন ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছেন। ৫ জন সদস্য রয়েছে এই তদন্ত কমিটিতে। তাঁর কড়া বার্তা, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আহতদের সকলের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে স্থানীয় প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.