সুকুমার সরকার, ঢাকা: একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং গ্রামে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনার নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
রোকন বড়ুয়া নামে এক প্রবাসী বৌদ্ধ কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং গ্রামে বাস করতেন। ওই বাড়িতেই থাকতেন তাঁর মা বছর পঞ্চাশের সখী বড়ুয়া, স্ত্রী নীলা বড়ুয়া এবং দুই সন্তান। বড় ছেলে রবীন বড়ুয়া চার বছর বয়সি। বছর দেড়েক বয়সের সানি বড়ুয়া তাঁর ছোট ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই চারজনের গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এবং উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরি, ঐতিহাসিক রানকোট বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু জ্যোতিসেন মহাথের-সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রোকন বড়ুয়ার ভাগনি প্রিয়াঙ্কা বড়ুয়া বলেন, “আমার মামা রোকন বড়ুয়া ১৫ বছর ধরে কুয়েতে চাকরি করতেন। কয়েক বছর পরপর তিনি দেশে আসতেন। দু’মাস আগে তিনি দেশে এসেছিলেন। ১০-১২ দিন আগে কুয়েতে ফিরে যান। দৃষ্কৃতীরা একে একে চারজনের গলার নলি কেটে খুন করে। কিন্তু কেন এ ঘটনা, কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে কিছুই মাথায় আসছে না।” বৌদ্ধভিক্ষু জ্যোতিসেন মহাথের বলেন, “ভোররাতে আমি জানতে পারি রোকন বড়ুয়ার পরিবারের সবাইকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে। তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। নিহতদের শরীর থেকে তখনও রক্ত ঝরছে। সিঁড়ির ঘর দিয়েই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছে মনে হচ্ছে। সম্ভবত ভোররাতের দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, “একটা পরিবারের চারজন সদস্যের গলার নলি কেটে খুন করা হল অথচ আশপাশের কোনও লোকজন টের পেল না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। টাকাপয়সার লোভে যদি কেউ ঘরে ঢোকে তাহলে দুই শিশুকে খুন করবে কেন? আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.