সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে প্রাক্তন সেনা অফিসারের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পরিবারের অভিযোগ, সাজানো সংঘর্ষে তাঁকে হত্যা করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, ওই আধিকারিক মাদক চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন। তাঁর গাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ মাদক ও বিদেশি পিস্তল মিলেছে।
গত শনিবার রাতে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মহম্মদ রাশেদ খান। পুলিশের দাবি, চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশির জন্য থামানো হলে রাশেদ নিজেকে সেনাবাহিনীর লোক বলে পরিচয় দেন। শুধু তাই নয়, তিনি সাফ জানান, তাঁর গাড়ি তল্লাশি করা যাবে না। কিন্তু পুলিশ তার পরেও তল্লাশি করতে চাইলে রাশেদ একটি পিস্তল তাক করেন। অন্য এক পুলিশকর্মী তখন রাশেদকে গুলি করেন। এদিকে, নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ অকারণে গুলি করে এখন মাদক মামলায় জড়াতে চাইছে রাশেদকে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ২০ জন পুলিশকে ব্যারাকে ফেরত পাঠিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবার তদন্ত কমিটির শুনানি শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বুধবার আদালতে মামলা করেছে পরিবার। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য র্যাবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আজ দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। এতে টেকনাফের আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ-সহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলা করতে নিহত রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়া-সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য আজ সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। তাঁরা প্রথমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে যান। সেখান থেকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহম্মদ মোস্তফার চেম্বারে পৌঁছান। সেখানে কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর দুপুরের দিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে মামলা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.