Advertisement
Advertisement
বন্যা

বাংলাদেশের ২২টি জেলা বন্যাপ্লাবিত, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ লক্ষ মানুষ

আরও চারটি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Floods put over 4 million people at risk in Bangladesh
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 20, 2019 4:29 pm
  • Updated:July 20, 2019 4:29 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির। ইতিমধ্যে ২২টি জেলা বন্যাকবলিত। উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কোমরের উপরে উঠে গিয়েছে বন্যার জল। যাতায়াতের জন্য ডিঙি নৌকাই এখন ভরসা ওই এলাকার বাসিন্দাদের। কুড়িগ্রামের মতোই দেশের মধ্যাঞ্চলের চারটি জেলা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্লাবিত হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র। জেলাগুলি হল ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং রাজবাড়ি।

[আরও পড়ুন- ‘থাকতে পারছি না কিছু করুন’, ট্রাম্পের কাছে কাতর আরজি বাংলাদেশি হিন্দু নেত্রীর  ]

এপ্রসঙ্গে ওই কেন্দ্রের আধিকারিক মহম্মদ শাহেদ কওসর জানান, উজান থেকে আসা জল বিভিন্ন নদনদী দিয়ে ওই জেলাগুলিতে ঢুকছে। এর ফলে ওই এলাকাগুলি প্লাবিত হবে। জামালপুর ও কুড়িগ্রামের তিস্তা নদী দিয়ে জল এখন দেশের মধ্যবর্তী এলাকায় ঢুকছে। এর ফলে যে চারটি নতুন জেলা প্লাবিত হবে তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ফরিদপুরের।

Advertisement

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক রোকসানা রহমান জানান, বন্যার পূর্বাভাসের পরেই বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুল খালি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যাজনিত কারণে ছড়িয়ে পড়া রোগ প্রতিরোধ করতে ৯২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যেই উপজেলাগুলিতে শুকনো খাবার ও চাল পাঠানো হয়েছে। আরও যে চাহিদা রয়েছে সেটা ঢাকাকে জানিয়েছি।

[আরও পড়ুন- স্ত্রীর মদতে কিশোরী মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে]

প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর বাংলাদেশ ছাড়া অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বিহার এবং মায়ানমারে একই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে বন্যার প্রকোপটা বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনিতে প্রতিবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজান থেকে নদীর জল ঢোকায় বন্যা হয়। কিন্তু, এবছর আশপাশের দেশগুলিতে প্রচুর বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক মহম্মদ ইফতেখারুল ইসলাম জানান, এই মুহূর্তে টাঙ্গাইল জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যাকবলিত এবং শুক্রবারের তুলনায় শনিবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। কালীহাতিতেও বন্যা হচ্ছে। যমুনা এবং পদ্মা নদীর জল বিভিন্ন জায়গায় এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এরপর যদি ফের ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে বিভিন্ন জেলায় আগামী দু’সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যার জল থাকবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement