সুকুমার সরকার, ঢাকা: বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় কাবুল। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি আরও জটিল করে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে ৯০ জন মানুষ। আর এই ঘটনার জেরে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও দেশে ফেরা হল না ১৫ বাংলাদেশি (Bangladesh) নাগরিকের।
জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে আটকে থাকা ১৫ বাংলাদেশি নাগরিকের কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁরা সুস্থ আছেন। এ ঘটনার পর তাঁরা বিমানবন্দর এলাকা থেকে যে যাঁর আবাসস্থলে চলে যান। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীও নিজ নিজ আবাসে ফিরে গিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার উদ্যোগে একটি বিশেষ বিমানে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৫ বাংলাদেশির দেশে ফেরার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীরও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। গত বুধবার দুপুর থেকে তাঁরা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের পর রাতে তাঁরা নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।
এর আগে গত রবিবার আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত ফারুক হোসেন ও মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাইটে কাবুল থেকে কাতারে যান। একই দিনে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তিন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুল থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরে হামলার দায় স্বীকার করে আইসিস (ISIS) জানিয়েছে, যেসমস্ত দোভাষী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করছেন, হামলার লক্ষ্য ছিল তাঁরাই। এদিকে আমেরিকার তরফেও ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য আইসিসের দিকে আঙুল উঠছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই মার্কিন বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা। দশ বছর আগে আফগানভূমে (Afghanistan) গুলি করে সেনা হেলিকপ্টার নামানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২০ মার্কিন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.