ছবি: প্রতীকী।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিয়েবাড়িতে বিপত্তি। ছেলের বিয়ের খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। আর সেই আনন্দে একটু বেশিই মদ্যপান করে ফেলেছিলেন তিনি। সেটাই কাল হল তাঁর। ছেলের বিয়ের পরদিন মৃত্যু হল বরের বাবার। নিমেষে খুশির মুহূর্ত বদলে গেল শোকের ছায়ায়। অন্য আরেকটি বিয়েবাড়িতে নাচানাচি করা নিয়ে অশান্তি বাঁধে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে। হাতাহাতি বেঁধে যায়। সেখানেই খুন হন এক তরুণ।
যশোরে ছেলের বিয়েতে অতিরিক্ত মদ পান করেন বাবা দিলু হরিজন (৫৫)। সোমবার সন্ধেয় যশোর শহরের পুরনো পুরসভার সামনে হরিজন পল্লিতে এই ঘটনা ঘটে। হরিজন পল্লির ননী হরিজনের মেয়ে সঞ্জনার সঙ্গে দিলুবাবুর ছেলে হৃদয়ের বিয়ে হয়। ছেলের বিয়ে শেষে বাড়ি ফেরার আগে দিলু হরিজন অতিরিক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ দিলুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, সোমবার বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা কুড়িগ্রামে বিয়েবাড়িতে নাচানাচির সময় ধাক্কা লাগা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বরের মাসতুতো ভাইকে খুন করা হয়। মৃতের নাম রাহুল বাসফোর (১৮)। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাচারী বাজার এলাকার প্রদীপ বাসফোরের ছেলে। বরপক্ষের লোকজন জানায়, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকায় সুমন বাসফোরের বাড়িতে যান। কনে সুমনের মেয়ে। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরদিন বরপক্ষকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। তখন কনেপক্ষের কয়েকজন তরুণ মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় নাচানাচি করছিলেন।
এ সময় বরপক্ষের একজনের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কা লাগলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে তাঁদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে বরের ছোট ভাই-সহ অন্তত তিনজন আহত হন। উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঘণ্টাখানেক পর বরপক্ষের লোকজন রেলস্টেশন বাজার মোড়ে অবস্থান করে। এ সময় কনেপক্ষের এক যুবক এসে রাহুলের বুকে ছুরি মারে, এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.