সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে চড়ছে নির্বাচনী পারদ৷ তুঙ্গে রাজনৈতিক প্রস্তুতি ও তরজা৷ আসরে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই৷ সে দেশে অনেকেই মনে করছেন ভোটে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই ইতিমধ্যেই দিল্লি সফর সেরে ফেলেছেন আওয়ামি লিগ ও বিএনপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এমনই পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে পেতে এবার দিল্লির দরবারে বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও দশম রাষ্ট্রপতি হুসেন মহম্মদ এরশাদ৷
[আসন রফার শর্তেই জোট সম্ভব, কংগ্রেসকে সাফ বার্তা মায়াবতীর]
গত রবিবার ভারত সফরে এসেছেন এরশাদ৷ ইতিমধ্যেই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি৷ যদিও সেখানে কী আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসেনি৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সমর্থন আদায় করতেই এই সফর জাতীয় পার্টির সুপ্রিমোর৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, দলের মহাসচিব এবি আমরুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় এবং প্রাক্তন মেজর খালেদ আখতার। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির আসন দখল করেন এরশাদ৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটে বাংলাদেশের৷ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করেন এরশাদ৷ তখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস৷ রাজনীতিবিদদের মতে ভারতে মোদি সরকারই ফের ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করছে বাংলাদেশের অধিকাংশ নেতারাই৷ তাই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষেই মত সবার৷
উল্লেখ্য, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফিরে যাবেন এরশাদ৷ চলতি বছরের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে৷ তার আগে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে পারেন তিনি৷ যদিও মনে করা হচ্ছে, তাঁর এই সফর দলের পক্ষে বিশেষ লাভজনক হবে না৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি সরকারের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত৷ ছিটমহল থেকে শুরু করে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির মাধ্যমে এখন আরও কাছাকাছি দুই দেশ৷ এছাড়াও বাংলাদেশে ভারত বিরোধী জঙ্গি গতিবিধিতে রাশ টেনেছেন হাসিনা৷ যা বড় পাওনা৷ তাই অপাতত ঢাকার মসনদে হাসিনাকেই চাইছে ভারত৷
[নাবালিকার যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ঝাঁসিতে চাঞ্চল্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.