সুকুমার সরকার, ঢাকা: হোলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর পূর্ণ হল আজ। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম এক রক্তাক্ত দিন হিসাবে লেখা রয়েছে। দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা হিসাবে এই দিনটিকে বর্ণনা করা হয়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই, রাজধানী ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। বাংলাদেশের নাগরিক ও বিদেশি-সহ প্রাণ হারিয়েছিলেন ২২ জন।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? ৮ বছর আগে ২০১৬-র ১ জুলাই রাত ৮টা নাগাদ আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে হামলা শুরু করে জঙ্গিরা। বেকারিতে থাকা মানুষদের পণবন্দি বানিয়ে ফেলে জেহাদিরা। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশাল বাহিনী। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ খবর আসে গুলশানে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক গুলির লড়াই চলছে জঙ্গিদের। এর মধ্যেই হোলি আর্টিজানের ভিতরে ২২ জনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হামলার কবলে পড়া নিরীহ মানুষদের উদ্ধারে গিয়ে নিহত হন ডিবি-র তৎকালীন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ সালাহউদ্দিন।
জানা যায়, ওইদিন বেকারিতে ঢুকে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছিল বেশ কয়েকজন জঙ্গি। ১৮ জন বিদেশি-সহ ২২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তারা। মৃতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, ১ জন ভারতীয় এবং ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশের অভিযানে ছয় জঙ্গিকে খতম করা হয় ও একজনকে ধরে ফেলা হয়। ওইদিন রাতেই হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট। হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় আইএস।
এই ঘটনাকে স্মরণ করে প্রত্যেক বছর নিহতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এবছরও হলি আর্টিজান বেকারিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইটালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি-সহ অন্য কূটনীতিকরা। হামলায় নিহতদের প্রতি তাঁরা কূটনৈতিক পুলিশ সদর দপ্তরেও শ্রদ্ধা জানান। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ডিএমপি কমিশনারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.