Advertisement
Advertisement
যৌন হয়রানি

যৌন হয়রানি ঠেকাতে উদ্যোগ, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কমিটি গঠন বাংলাদেশ সরকারের

নুসরত খুনের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Educational institutes asked to form bodies to prevent sexual harassment.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 21, 2019 6:12 pm
  • Updated:August 21, 2020 3:20 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: যৌন হয়রানির  ঘটনা ঠেকাতে সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরুরি ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’। তাড়াতাড়ি কমিটি করে তা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরির স্বাক্ষর করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন-২৭ বছরের প্রেমিকের টানে মার্কিন মুলুক থেকে বাংলাদেশে প্রৌঢ়া]

যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহার না করায় ফেনির সোনাগাজির ছাত্রী নুসরত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ঠিক এসময়ই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল হাসিনা সরকার। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রিটের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন অফিস ও দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। তারপর ওই কমিটি এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রতিটি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পাঁচ সদস্যের কমিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন-OMG! স্কুলের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সানি লিওন ও মিয়া খলিফা!]

২০০৯ সালে ঢাকা হাই কোর্ট জানায়, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিটি গঠন ও আইন প্রয়োগের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জানাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশও দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এছাড়া যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে আইন মেনে বিচার নিশ্চিত করার কথাও বলা আছে নির্দেশটিতে। সেখানে আরও বলা আছে, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে যতদিন পর্যন্ত না একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরি হচ্ছ, ততদিন গণপরিসরে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের সব কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

[আরও পড়ুন-নিজেদের দেশে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারা, নতুন সমস্যায় বাংলাদেশ]

এদিকে শনিবারই নুসরতকে খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তাঁর সহপাঠী কামরুন্নাহার মনি ও জাবেদ। শনিবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফেনীর সিনিয়র বিচারক শরাফউদ্দিন আহমেদের এজলাসে জবানবন্দি দেয় তারা। তারা জানায়, নুসরতকে হাত-পা বাঁধার পর মনি ছাদে শুইয়ে গলা চেপে ধরে। এরপর জাবেদ নুসরতের গায়ে এক লিটার কেরোসিন ঢেলে ম্যাচ জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

[আরও পড়ুন-ফিরদৌস, নূরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন টলিউডে কর্মরত বাংলাদেশি অভিনেতারা]

এপ্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মহম্মদ ইকবাল বলেন, “আসামি জাবেদ হোসেন, পলিথিন থেকে নুসরতের সারা শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। এর আগে জেলবন্দি থাকা সিরাজউদদৌলার সঙ্গে দেখা করে তারা। ৪ এপ্রিল সকালে ‘অধ্যক্ষ সাহেব মুক্তি পরিষদের’ সভা করা হয়। এরপর রাতে ১২ জন মিলে আলোচনা করে নুসরতকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর, সেই অনুযায়ী দায়িত্বও বণ্টন করে। জাবেদ কেরোসিন ঢালার পর কামরুন নাহার মনি নুসরাতের শরীর চেপে ধরে। উম্মে সুলতানা নামের একজন চলে যাওয়ার সময় নুসরতের পায়ে ধাক্কা লাগলে মনি তাকে শম্পা বলেও ডাকে। এই শম্পা নামটি পপি ও মনির দেওয়া নাম। মনি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। দুজনের জবাববন্দিতে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে নতুন কিছু নামও। তবে তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement