সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করলেন দেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি। শনিবার মাঝরাতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু আলোচনাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (VC) পদত্যাগের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। তবে তাঁর ইস্তফার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তবে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের দাবিগুলি লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পড়ুয়াজের অনশন প্রত্যাহারের আরজি জানান দীপু মণি।
গত রবিবার থেকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়সড় অশান্তির সূত্রপাত। একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কয়েকশো ছাত্রী। সেই আন্দোলন দমনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে পুলিশি (Police) নির্যাতনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। শুধু ক্যাম্পাসই নয়, আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে বাইরেও। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় শুরু হয় নিন্দা আর সমালোচনা। অভিযোগ, রবিবার রাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ (Lathicharge), শূন্যে গুলি ছুঁড়ে দমনপীড়ন শুরু করে পুলিশ। তাতে বেশ কয়েকজন জখমও হন। পরবর্তী দিনগুলিতেও জারি ছিল অশান্তি।
এসবের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের জট কাটাতে আসরে নামেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি। তিনি প্রথমে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ভারচুয়াল মাধ্যমে আলোচনায় বসে তাঁদের দাবি জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী। তাঁকে পড়ুয়ারা সাফ জানান, উপাচার্যের জন্যই এই পরিস্থিতি। তাই তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই। আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিনের বলেন, ”আমরা নিজেদের দাবি শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। তাঁর হাতে সময় কম ছিল বলে আমাদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি। তবে রবিবার আমাদের সঙ্গে আবারও বসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আমাদের সব দাবিদাওয়া লিখিতভাবে তাঁকে পাঠাতে বলেছেন।” আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, উপাচার্য না সরলে কিছুতেই অনশন প্রত্যাহার করা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.