Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশের বাসে চালু ই-টিকিট, যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি বেতনও বাড়ল কর্মীদের

আগামী বছর থেকে ঢাকা ও শহরতলির মধ্য়ে ই-টিকিট ব্যবস্থায় বাসের সংখ্যা বাড়বে আরও।

E-ticket issued for Bangladesh buses, staffs get salary hike | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 13, 2022 4:50 pm
  • Updated:November 13, 2022 4:54 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কলকাতা (Kolkata), দিল্লির মতো ভারতের অনেক শহরেই বাসে ই-টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে (Bangladesh) তা অনেক বিলম্বে চালু হল। ঢাকা শহর ও শহরতলির বাসগুলিতে ই-টিকিট চালু হয়ে গেল রবিবার থেকে। শুরুর প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিশাল জনবহুল এলাকা মিরপুর এলাকায় সব কোম্পানি বাস ই-টিকিট পরিষেবার আওতায় এল। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরের সব বাস কোম্পানিকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও আশপাশের জেলায় চলাচলকারী দেশের সব বাস কোম্পানিকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে।

ঢাকার (Dhaka) ইস্কাটন এলাকায় ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার গণপরিবহণে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু’ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ। ই-টিকিটিংয়ের কাজটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ করার কথা জানিয়ে এনায়েতউল্লাহ বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ ও সমস্যার সমাধানে ঢাকায় মনিটরিং সেল করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার ‘বন্ধু’র হাতে খুন ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী, রায়গঞ্জে বধূহত্যায় চিহ্নিত অভিযুক্ত]

আগামী বছর থেকে  ই-টিকিটিংয়ের আওতায় বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে খবর। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরে ৬০ টি কোম্পানির বাস চলবে। ২৮ ফেব্রয়ারি থেকে ঢাকা ও ঢাকা শহরতলির মধ্যে ৯৭ টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটের আওতায় চলাচল করবে। এই মুহূর্তে ঢাকা শহর এবং শহরতলিতে চলাচলকারী মোট বাসের সংখ্যা হচ্ছে ৫,৬৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে চলে ৩,১১৪টি এবং শহরতলিতে চলে ২ হাজার ৩৩৬টি।

[আরও পড়ুন: দিঘা মোহনা বাজারে উঠল বিরল প্রজাতির চিরুনি ফাল, দেখতে ভিড় স্থানীয়দের]

এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ই-টিকিট চালু করা হয়েছিল ঢাকার বাসগুলিতে। তাতে দেখা গিয়েছে, এতে মালিকদের রোজগার বেড়েছে। আগে গাড়িতে দু’একজন কর্মী থাকলেও এখন সেখানে তিনজন কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন চালক, হেল্পার এবং কনডাক্টর। পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ, চালকদের বেতন নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য বর্তমান থেকে আরও বেশি টাকা বেতন নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement