সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রাবণের দুপুরে ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির সঙ্গে গরম-গরম ইলিশ ভাজা। কিংবা ভাদ্রমাসের অরন্ধনে ইলিশের লাল ঝাল। পাঁঠার মাংসের মতোই ভাপা ইলিশ, সরষে ইলিশ ছাড়া অসম্পূর্ণ থাকে দুর্গাপুজোর দুপুরের ভূরিভোজও। কিন্তু এবার সেই সব স্বাদই অধরা বঙ্গবাসীর। শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশ থেকে আসছে না পুজোর ‘উপহার’ পদ্মার ইলিশ। রীতি ভেঙে বাংলায় এবার ইলিশ পাঠাবে না ইউনুস সরকার।
দিন কয়েক আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান,”দেশের লোকেরা ইলিশ কিনতে পারে না। তাই আমরা ইলিশের রপ্তানির অনুমতি দিতে পারি না। এ বছর দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) ভারতে ইলিশ পাঠানো হবে না। বাণিজ্য মন্ত্রককে এমনই নির্দেশ দিয়েছি।” ফলে এবার আর দুর্গাপুজোয় এপার বাংলার মানুষজনের পাতে উঠবে না পদ্মার ইলিশ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ৭০ শতাংশ ইলিশ জন্মায় বাংলাদেশের পদ্মায়। সেখান থেকেই গোটা বিশ্বে ইলিশ রপ্তানি হত। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের সরকার। যুক্তি ছিল, বেশি দামের আশায় সব ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করে দেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাংলাদেশের মানুষ তার স্বাদ পায় না। আর কেউ স্বাদ পেতে চাইলে খসাতে হয় গ্যাঁটের মোটা কড়িও। তাই জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ২০২২ সালে নাকি সেই নিষেধাজ্ঞা উঠেও যায় বলে খবর। তবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকাকালীনও দুর্গাপুজোয় ভারতে আসত ইলিশ। সৌজন্য স্বরূপ বাংলায় কয়েক টন রূপালি শস্য পাঠাতেন খোদ হাসিনাই। তবে এবার ছবিটা অন্য।
পড়শি দেশের মসনদে নেই শেখ হাসিনা। ফলে পুজোর উপহার থেকেও বঞ্চিত বাংলা। এ দেশে তথা পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠাতে আগ্রহী নয় ড. ইউনুসের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে এবারের দুর্গাপুজোটা পদ্মার ইলিশ ছাড়াই সাজবে এপার বাংলার বাঙালির পাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.