সুকুমার সরকার, ঢাকা: সমতলের মতো বাঙালির মতোই পার্বত্য অঞ্চলের উৎসবপ্রিয় মানুষেরাও মেতে উঠেছে দুর্গাপুজোয়। পাহাড়ে শুধু বাঙালি হিন্দুরা নয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও উৎসবে শামিল। তাই এ পুজায় কিছুটা হলেও আলাদা। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের তালে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। এবার রাঙামাটি শহরের ১৩টি-সহ জেলার দশ উপজেলার ৪১টি পুজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপুজো।
প্রতিবারের মতো এবারও জেলার সবচেয়ে বড় পুজোর আয়োজন করেছে জেলার রিজার্ভ বাজার গীতাশ্রম মন্দির। পুজোয় নানা ধরনের প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে থিম ‘অকাল বোধন’। মণ্ডপে থাকছে বিভিন্ন দেবদেবীর ১০টি প্রতিমা। বিশেষভাবে সেজে উঠেছে আইচ ভবন। পিছিয়ে নেই প্রায় একশো বছরের পুরনো তবলছড়ি রক্ষা কালীমন্দির পুজামণ্ডপ।
জেলার ৪০টি পুজোমণ্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৭টি, লংগদু মোট ৪টি, নানিয়াচর উপজেলায় ১টি, জুরাইছড়ি উপজেলায় ১টি, বরকলে ২টি, কাউখালি উপজেলায় ৪টি, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৩টি ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪টি পুজোর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অমর কুমার দে বলেন, “সব সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা যুগ যুগ ধরে রাঙামটিতে পুজোর আয়োজন করে আসছি। এবারও তাই করেছি।” রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ-সহ সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সভা করেছি। জেলা উপজেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। কন্ট্রোল রুমও রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.