সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় ৬ মাস ধরে বাংলাদেশে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। ৬ মাসে মৃত্যু হয়েছে তিনশোরও বেশি মাদক কারবারির। বুধবার বিজিবি ও ব়্যাবের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে ফের নিকেশ রোহিঙ্গা-সহ ৩ মাদক কারবারি।
বুধবার ভোরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর স্লুইচ গেট এলাকায় বিজিবির সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাদক ব্যবসায়ীদের। গোপন সুত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জানতে পারে বুধবার ভোরে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান করা হবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার ভোরে নির্ধারিত এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। ভোরে সাড়ে চারটে নাগাদ কয়েকজনকে আসতে দেখেন কর্তব্যরত বিজিবি আধিকারিকেরা। সেই সময় প্রতিপক্ষ তাদের দেখে গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন জাফর আলম। মৃত্যু হয় তার।
অন্যদিকে, বুধবার সকালে ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনের রাস্তায় চলে গুলির লড়াই। র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার (এসপি) মহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের একটি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মাদক নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয় র্যাব-২ এর সদস্যরা। সেই সময় সন্দেহজনক একটি বাসকে অনুসরণ করতে থাকে র্যাব সদস্যরা। শ্যামলী এলাকায় ব়্যাব সদস্যরা বাসে তল্লাশি করেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তি বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। এই সময় র্যাব সদস্যরা অভিযোগ, তাদের ডাকতেই র্যাবকে লক্ষ্য করে কয়েকজন গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষায় র্যাব সদস্যরাও পালটা গুলি চালায়। লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একইদিনে যশোহরের সীমান্তবর্তী থানা শার্শার কুচেমোড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মাদক কারবারির দেহ। সূত্রের খবর, দুই মাদকবিক্রেতা গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি গাঁজা, একটি ওয়ান শটার পিস্তল ও গুলি। জারি তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.