ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। সেই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খোলে আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ওয়াশিংটনের কড়া হুমকি, হিংসায় অভিযুক্তদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। এবার তারই পালটা দিল ঢাকা।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আগেও সরব হয়েছে আমেরিকা (America)। গত বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা-নীতি ঘোষণা করেছেন, যা নিয়ে ঢাকায় জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, “নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের সরকার বা বিরোধী পক্ষের যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারচুপি, হিংসা বা আতঙ্ক ছড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ থাকবে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারের কাউকে আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সরকারি কর্মচারী, আমলা বা পুলিশ অফিসাররাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।”
আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি হাতিয়ার করেই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা দাবি করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলটি। খালেদা জিয়ার দলের তোপ, “সবাই জানে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। এবার ইস্তফা দিন প্রধানমন্ত্রী।” এদিকে, মার্কিন হুঁশিয়ারির জবাবে বৃহস্পতিবার পালটা দিয়েছে ঢাকা। হাসিনা সরকারের মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এসব নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। বিএনপি-র আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। এটা কোনও নিষেধাজ্ঞা নয়।”
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও সাম্প্রদায়িকতার কালি লেগে রয়েছে খোদ বিএনপি-র গায়ে। পাকপন্থী ও সংখ্যালঘু বিদ্বেষী জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে খালেদার দলের মাখামাখি যে কতটা তা সবার জানা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমলে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.