Advertisement
Advertisement
পয়লা বৈশাখ

আসন্ন পয়লা বৈশাখের নয়া থিম, পাখির প্রতিকৃতিতে সাজবে ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় তৎপরতা তুঙ্গে৷

Dhaka University is preparing to celebrate Poila Baisakh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 5, 2019 4:01 pm
  • Updated:April 5, 2019 4:01 pm  

সুকুমার সরকারঢাকা: বাংলা নববর্ষ পালনে এখনও বিশ্ববাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে বাংলাদেশ৷ প্রতি বছর মহা সমারোহে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হয় পদ্মাপাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই।ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। পঞ্জিকার হিসেবে আর মাত্র ৮, ৯ দিন বাকি৷ বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনে মাতবে গোটা দেশ। বাংলাদেশের নববর্ষের উৎসব ইউনেস্কোর স্বীকৃত৷ আর তারপর থেকেই উদযাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভযাত্রা। 

                            আরও পড়ুন :  রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সংকটে বাংলাদেশ, আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থী ফেরানোর চেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এখন এই নিয়েই চরম ব্যস্ত। তৈরি হচ্ছে নতুন থিম৷ মুখোশ-সহ বিভিন্ন ধরনের গ্রাম্য মোটিফ তৈরি করা হলেও শোভাযাত্রায় এবার প্রাধান্য থাকছে পাখির প্রতিকৃতি, এমনটাই জানিয়েছেন হাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা৷ অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে তাঁরা তুলে ধরছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থের ৪৮ নম্বর কবিতা ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’৷ আহ্বায়ক তন্ময় দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে। আমরা একটার পর একটা শেষ করছি। গতবারের তুলনায় এবার পাখির প্রতিকৃতি বেশি থাকবে।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের জয়নুল গ্যালারির ডানদিকে অনুষদ প্রাঙ্গণে চলছে শোভাযাত্রার প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। বাঘ, ঘোড়া ছাড়াও বিভিন্ন পাখির শিল্পকর্ম তৈরি হচ্ছে। মূল নির্দেশক চারুকলার শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের নকশা দেখে নিখুঁতভাবে নির্মাণ কাজ করছেন। পাখির মধ্যে রয়েছে পেঁচা, কাঠঠোকরা। তবে এবার প্রতিকৃতির মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় থাকবে বাঘ ও বকের শিল্পকর্ম, এমনই জানা গিয়েছে শিল্পীদের সূত্রে৷ তাঁরা বলছেন, ‘বাঘ ও বকের গল্প আমরা সবাই জানি। আমরা এটিকে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরব।’ মুখোশ তৈরি, রং করা – হাজারও কাজের মধ্যে দিয়ে পূর্ণতা পাচ্ছে একেকটি প্রতিকৃতি৷

Advertisement

                               [  আরও পড়ুন :  বরিশালে মিষ্টি জলের ইলিশ ধরতে নিষেধাজ্ঞা, স্বাদগ্রহণ অপূর্ণই ভারতীয় পর্যটকদের

মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনে দরকার বড় পরিমাণের অর্থ। যার একটি আসে শিল্পকর্ম বিক্রির মধ্য দিয়ে। তাই এসব প্রতিকৃতি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে জয়নুল গ্যালারির ভিতরে এবং বাইরে চলছে বিক্রিও। ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মুখোশ। অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের রাসেল রানা বলেন, ‘এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দামের মুখোশ রয়েছে। তবে বড় রাজা-রানির মুখোশের দাম আরও অনেক বেশি।’ দামের তালিকাও রাখা হয়েছে৷ বড় পটচিত্র ৫০০-১০০০ টাকা, ছোট পটচিত্র ২০০-৫০০ টাকা, বাঘ ও পেঁচা এক-দেড় হাজার টাকা, পাখি পুতুল ১০০-৩০০ টাকা, পেপার ম্যাশ ৫-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে বেরোবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মহম্মদ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করবেন। গোটা অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করতে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিটি৷

dhaka-poila

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement