সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুতে ঝলমল করবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সূত্রের খবর, ঢাকার পাওয়ার লাইনে যুক্ত হচ্ছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে উৎপাদিত আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ।
জানা গিয়েছে, ঢাকার বাসিন্দারা আদানি গোষ্ঠীর উৎপাদিত বিদ্যুৎ পেতে চলেছেন। এজন্য ঢাকার সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে আদানির ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। এর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকা-সহ এর আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও স্বাভাবিক হবে। এজন্য নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ২৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং বসানো হবে চারটি এআইএস বে (বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন)। তার মধ্যে দু’টি ৪০০ কেভি ও বাকি দু’টি ২৩০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের ছ’টি জেলার ২৩টি উপজেলা হয়ে ঢাকায় আসবে এই পাওয়ার লাইন। এজন্য ৯ হাজার ৮০৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। গত ১৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটির অনুমোদন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পিজিসিবির অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগে পৌঁছানো সম্ভব হলেও, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় তা লোড সেন্টার ঢাকায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এজন্য সরকার আদানির বিদ্যুৎ ঢাকায় আনতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণে ৯ হাজার ৮০৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় উদ্যোগে নেওয়া ‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে। এটি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ লোড সেন্টার ঢাকা-সহ এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সরবরাহ করা যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্যভাবে সঞ্চালনের জন্য কনটেনজেনসি নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন নেটওয়ার্ক নির্মিত হবে, যার ফলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এই প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ রাজশাহী পর্যন্ত আনা গেলেও, সঞ্চালন লাইনের অভাবে ঢাকা পর্যন্ত আনা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২৬০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে তা ঢাকায় আনা সম্ভব হবে। ফলে প্রকল্পটি খুবই সময়োপযোগী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.