সুকুমার সরকার, ঢাকা: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান৷ প্রায় আড়াই বছর বাদে ঢাকার গুলশান হামলার অভিযুক্তদের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনাল৷ সোমবার সকালেই ছয় অভিযুক্তকে পেশ করা হয় বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মহম্মদ মুজিবর রহমানের সামনে৷ একে একে সাক্ষ্য দেয় ধৃত জাহাঙ্গির আলম ওরফে রাজীব গান্ধি, রকিবুল হাসান রিগান, রশিদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহেফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর।
[তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করল কমিশন]
২০১৬-র পয়লা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা৷ ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই পুলিশ-সহ মোট ২২ জনের৷ মৃতদের মধ্যে অনেক বিদেশী পর্যটকও ছিলেন৷ সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের মৃত্যু হয় পাঁচ জঙ্গির৷ এই ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়৷ হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তাদেরই সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা সকলেই বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। পড়াশোনা করত দেশ-বিদেশের নামিদামি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকলেই থাকত অভিজাত এলাকায়। ভাল পরিবার থেকে উঠে আসা এসব তরুণরা হঠাৎই উধাও হয়ে যায় বাড়ি থেকে। তাদের খোঁজে ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনও করেন অভিভাবকরা। কিন্তু পরে জানা যায়, জঙ্গি সংগঠন আইএসে নাম লিখিয়েছে নিখোঁজ যুবকরা৷
[প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে সংগ্রাম মায়ের, একটি ছবিই পালটে দিল জীবন]
ঘটনার পর আইএসের পক্ষ থেকে পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখান থেকেই পাঁচজনকে শনাক্ত করা যায়৷ জানা যায়, এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল জঙ্গি নিব্রাস ইসলাম। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী এবং যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তি। নিব্রাসের পরিবারের একজন বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব, একজন পুলিশের শীর্ষকর্তা এবং আরও একজন বিজ্ঞানী। ওই হামলার আরও এক জঙ্গি ছিল মীর সামি৷ তার পরিবারও যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত ও প্রভাবশালী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.