Advertisement
Advertisement
Eid Al Azha

ইদের দিন জঙ্গি হামলার হুমকি ISIS-এর, কড়া নিরাপত্তা ঢাকায়

নজরদারি চালানো হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যান্য শহরেও।

Dhaka on high alert to foil terror plans on Eid Al Azha

নজরদারি চালানো হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যান্য শহরেও।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 31, 2020 7:08 pm
  • Updated:July 31, 2020 7:08 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাত পোহালেই খুশির ইদ। আনন্দের এই দিনে জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন খবর পাওয়ার পরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ঢাকা শহরে। আনাচে-কানাচে টহলদারি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারাও।

কিছুদিন আগে এবারের ইদুল আজহার সময় ‘বেঙ্গল উলায়াত’ বা নাশকতা চালানোর হুমকি দেয় আইএসআইএস (ISIS)। এরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ঢাকায়। ইদের জামাতগুলোতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে বলেই জানিয়েছেন ‌র‌্যাবের ডিজি চৌধুরি আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, আপনারা নির্ভয়ে ইদের জামাতে অংশ নিন। গত ইদের ন্যায় এবারও মসজিদেই ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইদ ও বন্যায় আরও জটিল হতে পারে করোনা পরিস্থিতি, আশঙ্কা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ]

এদিকে আইএসআইএসের মতাদর্শে উজ্জীবিত নব্য জেএমবি (JMB) -এর কয়েকটি গ্রুপ ইতিমধ্যেই ঢাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে খবর পেয়েছেন জঙ্গিবাদ দমনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার ঝুঁকির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে ইদের নিরাপত্তায়। সূত্রের খবর, প্রতি বছরের মতো এবারও ইদের নমাজ, পশুর হাট, ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এছাড়া অনেকটা ফাঁকা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ব্যাংক, এটিএম বুথ ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তার জন্য টহল টিমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC) ইউনিট, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (ATU) আধিকারিকরা বলছেন, এই মুহূর্তে একধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে সব ইউনিটকে সতর্কও করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার সময় পল্টন মোড়ে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনার ঠিক পরেরদিন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের মোটর সাইকেলে গ্রেনেডের মতো বস্তু রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সিটিটিসির কর্মকর্তাদের ধারণা, দুটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। মূলত আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবি এসব কাজ করছে। গত বুধবার পল্লবী থানার কম্পাউন্ডেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।

[আরও পড়ুন: চিনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিল না বাংলাদেশ]

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ধরনের জঙ্গিযোগ নেই। তবে পরে ব্রিটেনের সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায়, আইএসআইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করছে। গত ১৯ জুলাই দেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক করে দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement