ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: নতুন বছরেই হাতে আসবে করোনার প্রতিষেধক? এমনই আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জানুয়ারির প্রথম দিকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা প্রথম দফায় বাংলাদেশে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশা তাঁর। বৃহস্পতিবার ঢাকায় হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
আগেই করোনা প্রতিষেধক (Corona vaccine) নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা এই মুহূর্তে পুনের এই সেরাম ইনস্টিটিউট। মহামারী যুদ্ধে প্রতিষেধক দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত পাশে দাঁড়িয়েছে। সেরামের থেকে ৩ কোটি ডোজ কিনছে হাসিনা প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখন তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আশা করি, আগামী মাসের প্রথম দিকেই আমরা টিকা পেয়ে যাব। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিকার এই ব্যবস্থা করতে পেরেছে।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “WHO আমাদের টিকা দেবে, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ হারে। সেটা আসতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা টিকা পাব। অনেক দেশ আছে, যারা এখনও টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি।” জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে প্রথম দফায় করোনা প্রতিষেধকের তিন কোটি ডোজ এনে তা মহামারী মোকাবিলায় যাঁরা সামনে থেকে কাজ করছেন, তাঁদের প্রথম বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে শিশুদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী শনিবার থেকে সারাদেশে হাম-রুবেলার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচে প্রায় তিন কোটি ৪০ লক্ষ শিশুকে এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) কারণে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি হবে না। টিকা দেওয়া হবে কমিউনিটি টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.