Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিচার

আত্মরক্ষার অজুহাতে এনকাউন্টার নয়, সরকারকে সতর্ক করল ঢাকা হাই কোর্ট

বাংলাদেশে গত ছ'মাসে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২০৪ জন।

Dhaka high court does not like extrajudicial killings.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 5, 2019 6:36 pm
  • Updated:July 5, 2019 6:36 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে সরকারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল ঢাকা হাই কোর্ট। সম্প্রতি বরগুনা শহরে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তারপরই পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রাণ হারান এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড। এই ঘটনা নিয়েই প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যে আদালত সমর্থন করে না তাও জানিয়ে দেয়।

[আরও পড়ুন- লাইফ সাপোর্টে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদ, নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিঙ্গাপুর]

বরগুনার ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিল।যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলি লড়াইয়ের নামে অনেক হত্যাকাণ্ড হয়। এই ঘটনাগুলোর কোনও তদন্ত হয় কি না, তা জানা যায় না।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, “বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পছন্দ করে না আদালত। সমর্থনের তো প্রশ্নই নেই। আইনে পুলিশকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি করার যে সুযোগ দেওয়া আছে, তার যেন অপপ্রয়োগ না হয়। আত্মরক্ষার অজুহাতে কেউ যেন যখনতখন এনকাউন্টার না করে।

[আরও পড়ুন- আগামী বছরেই চালু হবে মেট্রো, যানজট মুক্তির আশায় দিন গুনছে ঢাকাবাসী]

গত ছ’মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনকাউন্টারে কমপক্ষে ২০৪ জন নিহত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ প্রশাসন। এই ধরনের ঘটনায় মৃত দু’জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তারা জানায়, মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হলেও, কোনও মামলা করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোনও তদন্ত হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা বলেন, “বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন জবাব পাইনি। আমরা জানি না, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোনও তদন্ত হয় কিনা। এগুলির তদন্ত করা হোক। কিছু ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেও লাভ হয়নি। আমার মনে হয়েছে, তারা আমাদের কোনও জবাব দেবে না।”

যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেন, প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে কোনও সমস্যা চিহ্নিত হলে তারা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্ত হয়। এই রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।” তাঁর মতো একই দাবি করেন পুলিশ এবং র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement