সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্রমশ বাংলাদেশ বাড়ছে ডেঙ্গির রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে প্রায় প্রতিদিনই শ’য়ে শ’য়ে লোক ডেঙ্গুর কারণে ভরতি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। এই অবস্থায় কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মহম্মদ আতিকুল ইসলামকে এই সংকট থেকে উদ্ধার হওয়ার পরামর্শ দিলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগের চেয়ে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেন তিনি। সোমবার ঢাকার গুলশান নগর ভবনে ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই ভিডিও কনফারেন্সের।
কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘কলকাতা পুরসভায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কলকাতা পৌরসভা ২০০৯ সাল থেকে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে তিনস্তর বিশিষ্ট মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ড, বরো ও হেড কোয়ার্টার পর্যায়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কলকাতায় সারা বছর ধরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মনিটরিং এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মশারে করো উৎসে বিনাশ’-এই স্লোগান নিয়ে বাড়ি কিংবা উন্মুক্ত জলাশয় যেখানেই এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায় তা ধ্বংস করা হয়।’
ঢাকার কোন কোন এলাকা ডেঙ্গু প্রবণ তা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শও দেন অতীনবাবু। বলেন, ‘প্রয়োজনভিত্তিক কৌশলী হতে হবে। কলকাতা পৌরসভা ৯ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনের সাহায্যে ধোঁয়া প্রয়োগ কার্যকরী হলেও এডিস মশা দমনে এর কার্যকারিতা কম। এডিস মশা দমনে উৎস নির্মূল করা এবং জনসচেতনতা তৈরি করার বিকল্প নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইন পরিবর্ধন করে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন।
ডিএনসিসি মেয়র কলকাতার ডেপুটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের এই কনফারেন্স থেকে আমাদের অনেক ‘নলেজ শেয়ারিং’ হল। কলকাতার অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারব। কলকাতার সঙ্গে এই ধরনের নলেজ শেয়ারিং এটি প্রথম হলেও শেষ নয়। ভবিষ্যতে দুই শহরের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.