সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলে দেওয়া হোক বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকেও পরিবর্তনের দাবিতে সোচ্চার ঢাকা। আর এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নীরবতাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছেন। সব মিলিয়ে আলোচনা-বিতর্কে তোলপাড় বাংলাদেশ।
গত বুধবার বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি এই দাবি তোলেন। যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয়। তাঁর লেখা গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে কেন। পাশাপাশি গানটি ইসলামিক ভাবধারাতেও রচিত নয়। আর এই দাবি ওঠার পর থেকেই শুরু বিতর্ক।
অনেকেই এই দাবিকে সমর্থন করেছেন। তবে বিরোধিতাও করছেন অনেকে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিল্পী ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গাইবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে তসলিমা নাসরিন বুধবারই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তাঁকে আক্ষেপ করতে দেখা যায় ‘জাতীয় সংগীত ছাড়া আমার দেশ নিয়ে গর্ব করার বেশি কিছু পাই না আমি ।… অনেক দেশের জাতীয় সংগীতের কথা ও সুর আমি শুনেছি, কোনওটিই আমার সোনার বাংলার ধারে কাছে আসতে পারে না। …আহা দুঃখিনী দেশ আমার! দেশের জাতীয় সংগীত কেড়ে নেওয়া দেশের হৃদপিণ্ড কেড়ে নেওয়ার মতো।’
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় রবীন্দ্রনাথ ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি লেখেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হলে শেখ মুজিব গানটিকে নির্বাচন করেন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে। যদিও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে থেকেই গানটি পরিবর্তন করার দাবি উঠতে থাকে। এবার গণ অভ্যুত্থানের পর নতুন করে সেই দাবি উঠছে। শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.