Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৬ লক্ষ, উদ্বেগে অন্তর্বর্তী সরকার

প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি।

Death toll rise in the flood situation in Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 23, 2024 8:48 pm
  • Updated:August 23, 2024 8:48 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভয়াবহ হচ্ছে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি। বাড়তে মৃতের সংখ্যা। জলে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গত দুদিনে চার জেলায় এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কক্সবাজারে জলের তোরে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ২। প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি। বন্যার জেরে গৃহবন্দি প্রায় ৩৬ লক্ষ মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশের বন্যা কবলিত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। দুর্গতদের সহায়তায় এর মধ্যে পাঁচ জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের ত্রাণ বিতরণ করছেন জওয়ানরা। ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একইভাবে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যার কারণে সিলেটের সঙ্গেও দেশের নানা প্রান্তের রেল সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গ্রাম থেকে বন্যার জল হু হু করতে ঢুকতে শুরু করেছে শহরাঞ্চলেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একুশে আইন! এবার হত্যা মামলা প্রাক্তন অধিনায়ক শাকিবের বিরুদ্ধেও

এই বন্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশের প্রায় ৩৬ লক্ষ মানুষ বন্যাকবলিত। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশে টানা বৃষ্টি হয়েছে এবছর। ১৬ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছিল। তবে শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় মোবাইল ফোনের বেশ কিছু টাওয়ার অচল হয়ে গিয়েছে। এলাকায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে ভি–স্যাট পাঠানো হয়েছে।

অন্যাদিকে, এই বন্যার কারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জল ও বন্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বুয়েট) বারের অধ্যাপক মাসফিকুস সালেহীন জানান, বন্যার একটি বড় কারণ হচ্ছে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। ত্রিপুরা রাজ্যে লঘুচাপের কারণে এবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের মুহুরী, ফেনী, গোমতী নদীর মাধ্যমে (যাদের ক্যাচমেন্টের বেশির ভাগ অংশ ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত) ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ব্যাপক বন্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের অভ্যন্তরের বৃষ্টি। জুলাই মাসের শেষ দিকেই এই নদীগুলোর জল বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement