সুকুমার সরকার, ঢাকা: আশঙ্কা সত্যি করে সোমবার মাঝরাতেই বাংলাদেশের (Bangladesh) উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। বড় বিপর্যয়ের মুখে ওপার বাংলা। ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রাতভর তাণ্ডব দেখানোর পর শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং। তবে তার চোখরাঙানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এপার বাংলা। বঙ্গে (West Bengal) পুরোপুরি কেটে গিয়েছে সিত্রাংয়ের প্রভাব। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আবহাওয়া।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগটি মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছিল। ধীরে ধীরে রাতের দিকে তার ‘ল্যাজ’-এর দিকটি তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় উপকূলীয় এলাকাগুলি। নড়াইলে প্রথম তাণ্ডব শুরু হয় সিত্রাংয়ের। এরপর বরগুণা, ভোলা উপজেলাতেও দুর্যোগ বাড়তে থাকে। গাছ উপড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। বরগুণায় একশো বছরের এক বৃদ্ধার প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্যোগের মধ্যেও নৌকা চলাচল করছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, নৌকাডুবিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর মিলেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে দুর্বল হতে শুরু করে সিত্রাং। তবে টানা বৃষ্টি চলছেই। রাজধানী ঢাকা (Dhaka) শহর জলমগ্ন, প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। যার জেরে রাজধানী শহরে যানজট তৈরি হয়েছে। তবে রোদের দেখাও মিলেছে। সকালের দিকে দুর্যোগ কেটে যাওয়ায় নদীগুলিতে নৌকা চলাচল শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দুর্যোগ পুরোপুরি কাটলে তবেই ক্ষয়ক্ষতির মোট খতিয়ান বোঝা যাবে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ত্রাণশিবিরগুলিতে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ও স্বজন হারানো মানুষজনকে খুব দ্রুতই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হবে। তবে সিত্রাংয়ের ক্ষত মেরামত করতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.