Advertisement
Advertisement
ফণী

দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ ফণীর, ঝড়বৃষ্টিতেই প্রাণহানি অন্তত ১৬ জনের

শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হওয়াতেই ঝড়বৃষ্টি৷

Cyclone Fani enters into Bangladesh by loosing strength
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 4, 2019 3:55 pm
  • Updated:May 4, 2019 3:55 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবহবিদদের অঙ্ক মেনে সময়মতোই বাংলাদেশে ঢুকেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ তবে তা অনেকটাই দুর্বল৷ ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছিল উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে৷ শনিবার যশোর হয়ে ঢাকা, ময়মনসিং দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশের জেরে কোথাও কোথাও বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে৷ সঙ্গে ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া ছিল৷ ইতিমধ্যে ঝড় ও বজ্রপাতে সেদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৷

[আরও পড়ুন : ফণা তুলল ফণী, বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে শুরু প্রবল ঝড়বৃষ্টি]

তবে দুপুরের সঙ্গে সঙ্গে ফণীর শক্তি একেবারেই কমে তা নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে৷ তার গতিবিধি দেখে দুপুর দেড়টা নাগাদ আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তারা জানান, বিপদ কেটে গিয়েছে৷ ফণী এবার পাবনা, টাঙ্গাইলের পর সীমান্তবর্তী সিলেট হয়ে অসম, মেঘালয়ের দিকে চলে যাবে৷ তবে তার আগেই স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তাণ্ডব প্রায় কিছুই থাকবে না বলে পূর্বাভাস৷ যদিও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ রবিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্বাংশে৷ তবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও, এই মুহূর্তে বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে আবহাওয়ার দপ্তরের তরফে৷ সমুদ্র বন্দরগুলিতে বিপদ সংকেত জারি রয়েছে৷ পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া বিভাগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ফণীর ছোবল থেকে বাঁচতে ঈশ্বরই ভরসা! প্রার্থনা করতে বললেন হাসিনা]

তবে ফণী খানিকটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে ঢুকলেও, তার দাপট এবং প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে প্রাণহানির সংখ্যা নিতান্ত কম নয়৷ বরগুনার পাথরঘাটায় ঘর ভেঙে দিদা ও নাতির মৃত্যু হয়েছে৷ ভোলা জেলা সদরের দক্ষিণ দিঘলি ইউনিয়নে একইভাবে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন এক গৃহবধূ৷ সাতক্ষীরার গাইনবাড়িতে আশ্রয় শিবিরের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯২ বছরের এক বৃদ্ধার৷ কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ছ’জনের প্রাণহানি ঘটেছে৷ সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬৷ ফণীর দাপটে দেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন৷ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেনারেটরের সাহায্যে চলছে জরুরি পরিষেবা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement