Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cyclone Dana

‘ডানা’র দাপটে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, প্রস্তুত বাংলাদেশের উপকূলীয় প্রশাসন

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে টানা ৩ নং বিপদ সংকেত জারি থাকবে।

Cyclone Dana: Bangladesh prepares to combat the effect of cyclonic storm in coastal areas
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 24, 2024 6:07 pm
  • Updated:October 24, 2024 6:14 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ওড়িশা, বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশেও তার দাপট আছড়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা। সে দেশের উপকূলবর্তী ১৪ টি জেলা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ওড়িশাউপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আর তার প্রভাবেই বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং দূরবর্তী দ্বীপ ও চরের উপর দিয়ে দমকা হাওয়া-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় তার গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে নৌকা ও ট্রলারগুলিকে। দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও জনতার নিরাপত্তায় জেলার ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। একইসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫ লক্ষ টাকার গোখাদ্য, ৫ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য, ৮০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগর অর্থ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা মজুত রয়েছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement