সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ২০০১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে হামলার মামলায় রায় দিল আদালত। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন দুই অভিযুক্ত।
সোমবার, প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই মামলায় সাজা ঘোষণা করে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের (সিপিবি) সমাবেশে হামলার আজ ১৯তম বার্ষিকী। ২০০১ সালে আজকের দিনেই রাজধানী ঢাকার পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় মোট পাঁচজন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামি ও সরকার পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪৬ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলায় আসামি হচ্ছে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, মুফতি মইনউদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি অবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম। আসামিদের মধ্যে মুফতি মইনউদ্দিন, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ জেলে রয়েছে। আটজন পলাতক। মুফতি হান্নানের এর আগে অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টনে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা কাণ্ডে ঘটনাস্থলেই নিহত হন খুলনার বটিয়াঘাটার সিপিবির নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনার রূপসার দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিকনেতা আবদুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিকনেতা আবুল হাশেম ও মাদারীপুরের সিপিবির কর্মী মোক্তার হোসেন। আর আহত হয়ে পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খুলনা বিএল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা বিপ্রদাস রায়। এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বাদি হয়ে মামলা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.