সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০০৪-এর ২১ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপর হামলা গ্রেনেড হামলা হয়৷ আওয়ামি লিগ নেত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী তথা মহিলা আওয়ামি লিগের সভাপতি আইভি রহমান-সহ ২৪ জন৷ গুরুতর জখম হন কয়েক’শো জন। অভি়যোগ উঠেছে, হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছে পাকিস্তান থেকেই। ফলে হামলার পিছনে পাক যোগ রয়েছে৷ এই হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়ার দুটি মামলার বিচার শেষ হল ১৪ বছর ৪৮ দিন পর মঙ্গলবার৷ বুধবার দুই মামলার রায় ঘোষণা করতে চলেছে আদালত৷ যা নিয়ে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ৷
[এবার মাদক পাচারে মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইন আনতে চলেছে বাংলাদেশ]
রায় নিয়ে চরম আশঙ্কায় রয়েছে বিরোধীদল বিএনপি। কারণ, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে খালেদা জিয়ার ছেলে তথা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের৷ আইন বিশেষজ্ঞদের অনুমান, হামলার ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে অভিযুক্তদের৷ জানা গিয়েছে, একাধিকবার হামলার তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। একটা সময় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অবশেষ ২০০৭-এ তদারকি সরকার এসে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। প্রকাশ্যে আসে অনেক অজানা তথ্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নাম জড়িয়ে যায় ঘটনার সঙ্গে।
[এবার বাংলাদেশি ভূখণ্ডে নজর মায়ানমারের, কড়া প্রতিক্রিয়া ঢাকার ]
২০০৮-র জুনে বিএনপি সরকারের আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দিন, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা করে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে উঠে আসে তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.