সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত (India) থেকে সেরাম ইনস্টিউটের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ পাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে এবার আরও এক করোনা টিকা বাংলাদেশেই তৈরির প্রস্তাব দিল ভারত। যৌথ উদ্যোগে ‘কোভ্যাক্সিন’ (Covaxin) উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। এর আগে রাশিয়া টিকা উৎপাদনের ফর্মুলা গোপন রাখার শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এবার ভারতও একই প্রস্তাব দিল।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকে এই প্রস্তাব নিয়ে একটি ‘কূটনৈতিক বার্তা’ পাঠানো হয়েছে। দিন দুই আগে পাঠানো হয় এই ‘নোট ভারবাল’। বার্তায় ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে ‘কোভ্যাক্সিন’ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ভারত থেকে চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো করোনার টিকা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফলে কূটনৈতিক তৎপরতার পরও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ পাওয়ার বিষয়টি সুরাহা হচ্ছে না। তবে ভারত থেকে করোনা টিকার সরবরাহ ঠিকমতো না হওয়ায় এরই মধ্যে করোনা টিকা পেতে ভারতবিহীন নতুন জোটে শরিক হয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার করোনা টিকা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ, চিন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে শনিবার পর্যন্ত টিকা মজুত ছিল ২৭ লক্ষ ১৭ হাজারের কিছু বেশি। এখন বাংলাদেশে প্রতিদিন দেড় থেকে দু’লক্ষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই হারে টিকা দেওয়া চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ে টিকা ফুরিয়ে যাবে। শিগগির টিকার নতুন চালান না এলে প্রথম ডোজ পাওয়া অনেকেই টিকা পাবেন না। এছাড়া ইতিমধ্যে টিকার জন্য আবেদন করেছেন, এমন অনেক মানুষকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ৩ কোটি ডোজের মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭০ লক্ষ টিকা দিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ করে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও এরপর বাংলাদেশে আর কোনও টিকার চালান আসেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.