Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

তৈরি হয়নি সমন্বয় কমিটি, করোনা রুখতে বাংলাদেশের ভূমিকায় উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সাধারণের মধ্যে করোনা নিয়ে ধারণাই গড়ে ওঠেনি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Corona Virus: Bangladesh is not taking necessary steps, says WHO

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 1, 2020 4:43 pm
  • Updated:March 1, 2020 4:43 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, সতর্কতা সত্ত্বেও সেদিকে তেমন নজর দেওয়া হয়নি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমনই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যৌথ মিশন। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে নজরদারিও তেমন হচ্ছে না। বিভিন্ন মন্ত্রকের সমন্বয়ে যে কমিটি গঠন করে করোনা মোকাবিলার কাজে নামার কথা, তেমন কিছু তৈরিই হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সম্যক ধারণাই গড়ে তোলা যায়নি। তার জেরেই এমন দুরবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে বার্ড ফ্লু এবং সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের সময়ে এই সমন্বয় কমিটি এবং কারিগরি কমিটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু করোনা নিয়ে কোন মন্ত্রক কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা তাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর এই সমন্বয়ের অভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আগেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি আছে বলে ঘোষণা করেছিল। শুধু তাইই নয়, সর্বোচ্চ ঝুঁকির কথাও বলা হয়। তা সত্ত্বেও মোকাবিলায় তৎপর হয়নি বাংলাদেশ। যৌথ মিশনের প্রতিনিধিরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধির উদ্দেশে বেরিয়ে বাংলাদেশের এই অবস্থা দেখে রীতিমত উদ্বিগ্ন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোদিকে ডাকলে বঙ্গবন্ধুর অপমান হবে, নিমন্ত্রণ বাতিলের দাবি হেফাজতে ইসলামির]

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যের কথায়, করোনা মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক কোনও জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে হলে কে নেবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীরজাদী সেবরিন জানিয়েছেন যে কোনও কমিটি না থাকলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি একত্রেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এছাড়া রোগ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে কমিটি গঠনের বিষয়টি। তা দ্রুতই তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সেবরিনা। ১০টি এলাকাকে নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে। করোনার মোকাবিলায় ১৮টি এলাকার হাসপাতালে নজরদারি শুরু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের হাতে মায়ানমারের সিম কার্ড, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement