ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গী। দুপক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আহত পঞ্চাশেরও বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সংঘর্ষে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাত ৩টে নাগাদ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষ মাওলানা জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশবাহিনী। আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় প্রাণ হারান আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৫৫), বেল্লাল হোসেন (৬০) ও তাইজুল ইসলাম (৭০)। এছাড়া বুধবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা হাসপাতালের ভিতরে কয়েক দফায় সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে হাসপাতালেও সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জুবায়ে সমর্থকরা অভিযোগ জানান, “বুধবার সকালে সমন্বয়ক-সহ দুই গ্রুপের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাদপন্থীরা ইজতেমা মাঠে ঢুকে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা জোর করে ইজতেমা মাঠে ঢুকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা করে।” এনিয়ে ঢাকা হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মহম্মদ ফারুক জানান, টঙ্গী এলাকা থেকে দুদলের সংঘর্ষকাণ্ডে জখম ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা চয়েছে। এই ঘটনার পরই বিশ্ব ইজতেমা ময়দান এবং এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশ।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিষয়টি বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। এঘটনায় মামলা হবে। তারপর জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.