সুকুমার সরকার, ঢাকা: গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শনিবার রাজধানীর মহম্মদপুর এলাকায় লড়াই বাধে শাসকদলের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। তবে নির্বাচনের আগে ফের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ধাক্কা খাবে দলই।
[আদালতের নির্দেশে বিএনপির শীর্ষপদে থাকতে পারছেন না খালেদা ও তারেক]
পুলিশ সূত্রে খবর, মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের দ্বিতীয় দিন, আদাবর এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাদেক খানের সমর্থকরা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃতদের নাম আরিফ ও সুজন। উল্লেখ্য, ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রার্থী পদের দাবিদার দুই আওয়ামি নেতাই। এনিয়ে দুই শিবিরের মধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে ঠান্ডা লড়াই চলছে। এদিকে গতকাল বা শুক্রবার মনোনয়ন পত্র তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করে আওয়ামি লিগ। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার তরফে দু’টি মনোনয়ন পত্র তোলা হয়। তবে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোটে লড়াইয়ে নামার কথা ঘোষণা করেনি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই কথা ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে মোতায়েন থাকবে ৬ লক্ষাধিক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। উল্লেখ্য, প্রথম থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালনার কাজে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করার দাবি করে আসছে বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলি।
[টিপু জয়ন্তী ঘিরে উত্তপ্ত কর্ণাটক, অনুষ্ঠান বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.