ফাইল ছবি।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত ও বাংলাদেশের বিচারব্যাবস্থার মধ্যে মিল খুঁজে পেলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রবিবার ঢাকা (Dhaka) সফরে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের বিচার বিভাগ ও সংস্কৃতি প্রায় একই। এদিন আপিল বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় একথা বলেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে এদিন এজলাসে (প্রধান বিচারপতির কোর্ট) আসেন ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস। বাংলাদেশের আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মহম্মদ আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মহম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেন।
রবিবার এজলাসে আসন গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ”আমাদের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ। ভারতের প্রধান বিচারপতি ও সে দেশের দুজন বিচারপতি উপস্থিত আছেন।” এর পর ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাঁর কথায়, ”ভারতের প্রধান বিচারপতি ও দুজন বিচারপতির উপস্থিতি অত্যন্ত সম্মানের। তিনজন বিচারপতির উপস্থিতি এই প্রথম, যা ইতিহাসের অংশ।” অতিথিদের ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তিনি বাংলাদেশের আইনজীবীদের জন্য ভারতে বিচারিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এর পর আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যতালিকার ১ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিক থাকা মামলার শুনানি গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। এর পর ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, ‘‘আমি ও আমার সিনিয়র দুজন সহকর্মীর জন্য বিষয়টি অত্যন্ত সম্মানের।’’ পর্যবেক্ষণ করা মামলার শুনানির বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতির মত, এক্ষেত্রে তিনিও অনুরূপ আদেশ দিতেন।
আইনজীবীরা প্রশিক্ষণের জন্য আগ্রহী হলে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। উল্লেখ্য, রামের জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের অন্যতম অংশীদার ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। আধার মামলার রায় দেওয়া বেঞ্চের সদস্যও ছিলেন তিনি। সেই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য ছিল, সব তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে আধারকে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হলে, তাতে ব্যক্তি অধিকার খর্ব হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.