ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বে কিছুতেই থামছে না করোনার মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত এই মারণ রোগের চিকিৎসায় মেলেনি কোনও দাওয়াই। তবে করোনার প্রতিষেধক বা টিকা অবিষ্কারে বিশ্বজুড়ে চলছে আপ্রাণ চেষ্টা। এই প্রয়াসে পিছিয়ে নেই চিনও। ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটি বাংলাদেশকে দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছে বেজিং। তবে চিনের প্রতি পদক্ষেপের নেপথ্যে যে কূট অভিসন্ধি থাকে, তা স্পষ্ট করে এবার মানবদেহে করোনা টিকার পরীক্ষায় বাংলাদেশকে ‘গিনিপিগ’ বানাতে চাইছে বেজিং।
বাংলাদেশের বিদেশ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, টিকা আবিষ্কারে গবেষণার জন্য বাংলাদেশকে পরীক্ষাগার হিসেবে চায় বেজিং। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছে চিন। এই বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে আলোচনাও চলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের নাগরিকদের উপর পরীক্ষা না করে, বাংলাদেশিদের ‘গিনিপিগ’ হিসেবে কেন ব্যবহার করতে চাইছে চিন? বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নতুন করে আবিষ্কার হওয়া টিকার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, এছাড়া চিনে ট্রায়ালের খরচও বেশি। ফলে সব মিলিয়ে বাংলাদেশিদের উপর পরীক্ষা করলে সেসব নিয়ে ভাবতে হবে না বেজিংকে।
চিনে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করেছে। চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি অর্থাৎ মানবদেহে টিকার প্রয়োগ। আর বড় আকারে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুমোদন পেয়েছে চিনের সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ’ (সিএনবিজি)। পাশাপাশি বাংলাদেশেও এ পরীক্ষা চালাতে চায় দেশটি। এ বিষয়ে নানা মাধ্যমে আলোচনাও চালাচ্ছে চিন। সূত্রের খবর, চিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত রোগী কমে যাওয়ায় এখন দেশের বাইরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য জায়গা খুঁজছে চিন। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় বাংলাদেশকে উপযুক্ত মনে করছে চিন। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে চিনের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.