ছবি: প্রতীকী।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের হামলায় জেরবার চিন। এই মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে দেশটির অর্থনীতিতেও। চিনা পণ্যের চাহিদা না কমলেও, করোনার ভয়ে অনেক দেশই আমদানিতে লাগাম টানার কথা ভাবছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার না খোঁজার আবেদন জানিয়েছে বেজিং।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে চলা চিনা প্রকল্পগুলিতে পড়বে বলে অকপটে কবুল করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। করোনা ভাইরাস ছড়ানোয় চিনের বদলে বিকল্প বাজার না খোলার অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘হুট করে অন্য কোনও দেশ থেকে পণ্য খোঁজা এবং সে অনুযায়ী আমদানি করার সিদ্ধান্ত সহজ হবে না। তাই এখনই বিকল্প বাজার না খোঁজাই ভাল।’ এছাড়াও, করোনার উৎসস্থল হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ বাংলাদেশিকে এখনই না ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন লি জিমিং। ‘ঝুঁকি’ বিবেচনায় নিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থ চিন্তা করেই বাংলাদেশকে এমনটি ভাবার কথা বলেছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি ইউহান শহর থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে বিশেষ প্লেনে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। ঢাকায় ১৪ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন অবস্থায় (কোয়ারেন্টাইন) রেখে তাঁদের সুস্থতা নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হুবেই প্রদেশ থেকে ফিরতে আগ্রহী আরও ১৭১ বাংলাদেশি। এজন্য তারা আবেদন জানালেও এ ব্যাপারে সময় নিচ্ছে ঢাকা। এই বিষয়ে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, “১৭১ জনকে এখনই ফেরত আনার দরকার নেই। কারণ এতে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তারা যেখানে আছেন, সেখানে সুরক্ষিতই আছেন। সেখানে যে ফ্লাইট তাদের আনতে যাবে, ওই প্লেন এবং তার পাইলট-ক্রুদের এখন অন্য কোনও দেশ ঢুকতে দেবে না।”
উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে ততই চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। সোমবার এই রোগে ফের ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মোট ১,৮৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানিয়েছে চিন। অন্যদিকে নতুন করে আরও ১,৮৮৬ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৪৩৬।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.